Baitur Rauf Jame Mosque ঐতিহ্যবাহী “বায়তুর রউফ মসজিদ”
ঐতিহ্যবাহী “বায়তুর রউফ মসজিদ” ঢাকা জেলায় অবস্থিত একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যশৈলীর মসজিদ । মসজিদটি ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার ফায়েদাবাদে অবস্থিত । ২০১২ সালে নির্মাণ হওয়া এ মসজিদের ডিজাইন করেছেন স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। সুলতানী আমলের স্থাপত্যের অনুপ্রেরণার সাথে মেরিনা তাবাসুমের নিজস্ব স্বকীয়তায় তৈরী মসজিদটি 2017 সালে অনবদ্য ডিজাইনশৈলীতে এবং দেশীয় সংস্কুতি ও ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে এটি আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার পুরস্কারে ভূষিত হয়।
মসজিদের স্থাপত্যের বিশেষ দিক:
সনাতন পদ্ধতির ইটের ব্যবহারের সাথে বর্তমান স্থাপত্যরীতির মিশ্রণ ঘটিয়ে দেয়ালে কোন রং বা প্লাস্টার উপকরণ ব্যবহার না করা।
754 বর্গমিটারের এই মসজিদটিতে আলো প্রবেশের 4টি পথ। এছাড়াও ছাদে গোলাকাল ছোট ছোট ছিদ্র ব্যবহার করে আলো প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিনের বেলায় চমৎকার আলোয় বিচ্ছুরণ মসজিদের পরিবেশকে ভিন্ন একা মাত্রা যোগ করেছে। আলোর এ বিশেষ ব্যবস্থাই মসজিটির স্থাপত্য ডিজাইনের মূল আকর্ষণ। ফলে দিনের বেলায় কৃত্তিম আলোর প্রয়োজন পড়ছে না মসজিদটিতে।
মসজিদ ভবনের অভ্যান্তরে বায়ু চলাচলের চমৎকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালে এখানে যেমন তাপমাত্রা থাকবে অপরিবর্তিত তেমনি তীব্র শীতেও হাওয়া থাকবে সহনীয়। বাংলাদেশে প্রায় সকল মসজিদে মিনার বা ডোম দেখা গেলেও এই মসজিদের কোন মিনার নেই। চতুর্দিকে আটটি পিলারের ওপর এটি তৈরি। এর নকশার বিশেষত্ব হলো, কেবলার দিকে ১৩ ডিগ্রি কোনাকুনি করা একটি থাম। মোটকথা প্রাকৃতিক পরিবেশের বিষয়গুলো অনেক চমৎকারভাবে কাজে লাগানো হয়েছে এখানে।
ইট আর কংক্রিটের ভবন, শুধু স্থাপনা নয়। এটি স্থপতির সৃষ্ট শিল্পকর্ম। বায়তুর রউফ মসজিদ তেমনি একটি স্থাপত্য শিল্পকর্ম, যেখানে স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম ইট আর কংক্রিটের ভবনে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছেন।