১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ-বিএনপির

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করছেন, ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় জনসভার আগে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত চার দিনে ১০৩১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঢাকা জেলা আদালতে জঙ্গি ডাকাতির ঘটনা উল্লেখ করে পুলিশ মেস, আবাসিক হোটেল ও বাসাবাড়িতে অবরোধ চালাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, জঙ্গি ধরতে অভিযানের নামে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে।

পুলিশ কি বলছে?

গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ বলছে, এর সঙ্গে বিএনপির ঢাকা সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বলছেন, বিএনপির এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালায়।

বিএনপির সমাবেশের ঠিক আগে এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ডিএমপির মুখপাত্র মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো নাশকতা এড়াতে ডিএমপি সদর দফতরের নির্দেশে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই বিশেষ অভিযান ডিএমপির নিয়মিত অভিযানের একটি অংশ এবং এর অধীনে বিচারাধীন মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে।

ফারুক হোসার বলেন, “এই বিশেষ অভিযানের লক্ষ্য যারা পেশাদার অপরাধী, অবৈধ অস্ত্রধারী এবং মাদকের ব্যবসা তাদের গ্রেফতার করা। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, পরোয়ানা আছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। অন্য কারো কাছে নয়।”
“মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে সারাদেশে নানা আয়োজন থাকবে। কোথাও যাতে কোনো নাশকতা না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই অভিযান।”

সমাবেশের জন্য বিকল্প স্থান খুঁজছেন

বিএনপির জনসভার ছয় দিন বাকি থাকলেও ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা এখনো নয়াপল্টনকে জনসভার মাঠ বলে কথা বলছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ তির ছাড়া ঢাকার অন্য কোনো বিকল্প ভেন্যু নিয়ে তারা বিবেচনা করবেন।

তবে মির্জা আলমগীর বলেন, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার বিষয়ে দল এখনো অনড়। তিনি দাবি করেন যে কোনো স্থানে সমাবেশ গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার।
তবে আজ বিএনপি নেতারা বিএনপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করলে তাদের বিকল্প ভেন্যু খুঁজে বের করার কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মুখপাত্র মোহাম্মদ ফারুক হোসেন।

তিনি বলেন, “বিএনপিকে বিকল্প ভেন্যু খুঁজতে বলেছে ডিএমপি। বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও মতিঝিলের উপ-পুলিশ কমিশনার আরামবাগ, পল্টন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করবেন।”

তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি সমাবেশ করবে বলে আশা করছে ডিএমপি।

তিনি আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি যে সহিংসতার আশঙ্কা করছে তা প্রতিরোধে সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ডিএমপি।

ফারুক হোসেন বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করলে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে বিএনপি আশঙ্কা করছে। ডিএমপি যেহেতু অনুমতি দিয়েছে, সেহেতু তারা সমাবেশের সাফল্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।” সমাবেশ।”

Leave a Reply