You are currently viewing সাঈদীর প্রকাশিত গ্রন্থাবলি ও সংক্ষিপ্ত জীবনী

সাঈদীর প্রকাশিত গ্রন্থাবলি ও সংক্ষিপ্ত জীবনী

সাঈদীর প্রকাশিত গ্রন্থাবলি ও সংক্ষিপ্ত জীবনী

দেলাওয়ার হোসেন সাইদী একজন বাংলাদেশী ইসলামী পন্ডিত, বক্তা, লেখক এবং রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য। তার প্রকাশিত সর্ব মোট ৭৫টি গ্রন্থাবলির তালিকা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামীর নায়েবে-আমির বা সহ-সভাপতি। তিনি প্রথমবারের মতো ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন এবং ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হন।

২০১১ সালে, সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুটপাট এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ২০টি মামলা আনা হয় তার বিরুদ্ধে। ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে আটটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ২০টির মধ্যে দুটিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর জামায়াতে ইসলামী ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো দেশে-বিদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা শুরু করে। এই রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪-এ, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট আপিলের রায় পর্যালোচনা করে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আরোপিত মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে সাঈদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

০১. আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহাকাশ ও বিজ্ঞান

০২. আখিরাতের জীবনচিত্র

০৩. আল কোরআনের দৃষ্টিতে ইবাদাতের সঠিক অর্থ

০৪. আল কোরআনের মানদন্ডে সফলতা ও ব্যর্থতা

০৫. আল্লাহ কোথায় আছেন

০৬. আল্লাহ মৃতদেহ নিয়ে কি করবেন

০৭. ঈমানের অগ্নিপরীক্ষা

০৮. কাদিয়ানীরা কেন মুসলিম নয়

০৯. খোলা চিঠি

১০. চরিত্র গঠনে নামাযের অবদান

১১. জান্নাত লাভের সহজ আমল

১২. তাফসীরে সাঈদী আমপারা

১৩. তাফসীরে সাঈদী সূরা আছর

১৪. তাফসীরে সাঈদী সূরা ফাতিহা

১৫. তাফসীরে সাঈদী সূরা লোকমান

১৬. তালিমূল কোরআন

১৭. দেখে এলাম অবিশ্বাসীদের করুন পরিণতি

১৮. দ্বীন বিজয়ের আন্দোলনে ধৈর্য

১৯. ধর্মনিরেপক্ষতা বনাম ধর্মহীনতা।

২০. নীল দরিয়ার দেশে

২১. ফিক্বহুল হাদিস ১ম খন্ড

২২. ফিক্বহুল হাদিস ২য় খন্ড

২৩. বিষয়ভিত্তিক তাফসীরুল কোরআন ১ম খন্ড

২৪. বিষয়ভিত্তিক তাফসীরুল কোরআন ২য় খন্ড

২৫. মহিলা সমাবেশে প্রশ্নের জবাব ১ম খন্ড

২৬. মহিলা সমাবেশে প্রশ্নের জবাব ২য় খন্ড

২৭. মানবতার মুক্তির সনদ আল কোরআন

২৮. রাসূল (সাঃ) এর মোনাজাত

২৯. সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ইসলাম

৩০. সাঈদীর রচনাবলী ১ম

৩১. সাঈদীর রচনাবলী ২য়

৩২. সাঈদীর রচনাবলী ৩য়

৩৩. সীরাতে সাইয়্যেদুল মুরসালীন

৩৪. হাদিসের আলোকে সমাজ জীবন

৩৫. আমি কেন জামায়াতে ইসলামী করি?

৩৬. ইসলামী রাজনীতি কি ও কেন?

৩৭. তাফসীরে আয়াতুল কুরসী

৩৮. সুন্নাতে রাসূল (সাঃ) এর অনুসরনের সঠিক পদ্ধতি

৩৯. ঈমানী জিন্দেগীর সাফল্য ও ব্যর্থতার মানচিত্র

৪০. আল্লাহর প্রতি ঈমান ও তার দাবি

৪১. শাহাদাত-ই জান্নাত লাভের সর্বোত্তম পথ

৪২. দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ধৈর্য্যের অপরিহার্যতা

৪৩. জিহাদ ঈমানের অপরিহার্য দাবি

৪৪. দ্বীনে হক্বের দাওয়াত না দেয়ার পরিণতি

৪৫. দ্বীন প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য

৪৬. বর্তমান পেক্ষাপটে সম্মানীত আলেম সমাজের দ্বায়ীত্ব ও কর্তব্য

৪৭. দুর্ণীতিমুক্ত সমাজ গড়ার মুলনীতি

৪৮. ইসলাম একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান

৪৯. ইসলাম-ই ঐক্য ও শান্তির পথ

৫০. ইসলামের রাজনৈতিক বিধান

৫১. ইসলামে ভুমি কৃষি ও শিল্প আইন

৫২. আল্লাহ তা’য়ালার শেখানো দোয়া

৫৩. আখিরাতের জীবন চিত

৫৪. নারী অধিকারের সনদ

৫৫. শিশুর প্রশিক্ষণ পদ্বতি

৫৬. শিশু-কিশোরদের প্রশ্নের জবাব

৫৭. বিশ্বনবীর অমীয় বাণী

৫৮. জিয়ারতে বায়তুল্লাহ

৫৯. তা’লিমুল কুরআন

৬০. তা’লিমুল কুরআন

৬১. সৎ মানুষের সন্ধানে

৬২. রিয়াদুল মু’মিনিন

৬৩. বেহেশতের চাবি

৬৪. পরকালের সাথী

৬৫. নাজাতের পথ

৬৬. যুগের দর্পণ

৬৭. বিশ্ব সভ্যতায় নারীর মর্যাদা

৬৮. হাদিসের আলোকে সমাজ জীবন

৬৯. কুরআন দিয়ে কুরআন বুঝুন

৭০. কুরআনের দৃষ্টিতে ইবাদতের সঠিক অর্থ

৭১. বর্তমান বিশ্বে ইসলামী পূর্ণজাগরণের সম্ভাবনা

৭২. নিজ পরিবারবর্গের প্রতি আমার অসিয়্যত

৭৩. মানবতা বিধ্বংসী দু’টি মতবাদ

৭৪. বিশ্ব সভ্যতার মুক্তি কোন পথে?

৭৫. নন্দীত জাতি নিন্দীত গন্তব্যে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সংক্ষিপ্ত জীবনী

আল্লামা সাঈদীর সংক্ষিপ্ত জীবনী এবং আল্লামা শিরোনামের ইতিহাস দেখে নেই:-

সাঈদীর জীবনী:

১: জন্ম:

তিনি পিরোজপুর জেলার সৈয়দখালী গ্রামে ১৯৪০ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি, ৭ই রমজান বৃহস্পতিবার জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম: ইউসুফ সাইদি যিনি একজন প্রখ্যাত ইসলামী পন্ডিত ছিলেন।
মাতার নামঃ গুলনাহার সাইদী। আল্লামা সাইদীর সন্তানঃ চার ছেলে- মরহুম রফিক সাইদী, শামীম সাইদী, মাসউদ সাইদী ও নাসিম সাইদী।

২: শিক্ষা:

তিনি তার পিতার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে তিনি খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় কিছু সময় কাটান এবং তারপর ১৯৬২ সালে ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাস করেন।
কামিল পাশ করার পর তিনি বিভিন্ন ভাষা, ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, মনোবিজ্ঞান এবং বিভিন্ন তত্ত্বের উপর দীর্ঘ ৫ বছর অধ্যয়ন করেন।

৩: দাইয়ি ইল্লাল্লাহ:

১৯৬৭ সাল থেকে, তিনি নিজেকে “দায়িলাল্লাহ” হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইদী বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে আমন্ত্রিত হয়ে মানুষের কাছে পবিত্র কোরআনের বাণী পেশ করেছেন। দেশে তার ৫০ বছরের ইসলাম প্রচার সংক্ষেপে দেখুন:-
(ক) টানা ২৯ বছর ধরে প্রতি বছর ৫ দিন চট্টগ্রাম প্যারেড গ্রাউন্ড।
আ’মাহফিলে দুইবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিত্র কাবা শরীফের সম্মানিত ইমাম।
(খ) ৩৮ বছর ধরে খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানসহ নগরীর বিভিন্ন মাঠে প্রতি বছর ২ দিন।
(গ) সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে টানা ৩৭ বছর প্রতি বছর ৩ দিন।
(ঘ) রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসা মাঠে টানা ৩৫ বছর প্রতি বছর ৩ দিন।
(ঙ) টানা ২৫ বছর বগুড়া শহরে প্রতি বছর ২ দিন।
(চ) ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে ময়দানও পল্টন ময়দানে টানা ৩৪ বছর প্রতি বছর ৩ দিন।

৪: রাজনৈতিক জীবন:

১৯৭৯ সালে একজন সাধারণ সমর্থক হিসেবে জামায়াতে যোগদান করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি জামায়াত মজলিসে শুরা সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করছেন।

৫: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে:

(ক) ১৯৭৩ সাল থেকে, তিনি সৌদি আরবের রাজার আমন্ত্রণে রাজকীয় অতিথি হিসাবে হজ পালন করতে আসছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত, প্রতি বছর রমজান মাসে মক্কা-মদীনায় থাকা তাঁর রুটিন হয়ে দাঁড়ায়। তিনি সৌদি বাদশাহ ফাহদ বিন আব্দুল আজিজ ও ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজের আমন্ত্রণে রাজকীয় অতিথি হিসেবে ৬ বার হজ পালন করেন। ২০০৯ সালে, তার গ্রেফতারের আগের বছর, তিনি সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের আমন্ত্রণে রাজকীয় অতিথি হিসেবে হজ পালন করেছিলেন।
(খ) আল্লামা সাঈদী সৌদি বাদশাহর রাজকীয় অতিথি হিসাবে ৬ বার, রাবিতা আলম আল-ইসলামীর আমন্ত্রণে ৮ বার রাজকীয় অতিথি হিসাবে সহ অসংখ্যবার হজ করেছেন এবং প্রতি রমজানে পবিত্র হারাম পালন করেছেন টানা ১৮ বছর। ৯০এর দশক থেকে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের সময় পর্যন্ত। শরীফ ইতিকাফ করেন। নামাজের জন্য ইমাম সাহেবের পিছনে দাঁড়াতেন। বলা যায়, তারা তার জন্য নামাজের স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তিনি প্রতি বছর একই স্থানে নামাজ ও ইতিকাফ করতেন।
(গ) ১৯৮২ সালে, তিনি ইমাম খোমেনির আমন্ত্রণে ইরানের প্রথম বিপ্লবের বার্ষিকী উপলক্ষে তেহরান সফর করেন। ১৯৯১ সালে, সৌদি রাজার আমন্ত্রণে, তিনি কুয়েত-ইরাক যুদ্ধ পুনর্মিলন বৈঠকে যোগদান করেন।
১৯৯১ সালে, উত্তর আমেরিকার ইসলামিক সার্কেল তাকে “#আল্লামা” উপাধিতে ভূষিত করে।
(ঘ) মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন সাঈদী ১৯৯৩ সালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সামনে আমেরিকান মুসলিম বিদায়ী সম্মেলনে “#গ্র্যান্ড_মার্শাল” পদক লাভ করেন। ৮ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে, দুবাই সরকারের আমন্ত্রণে, তিনি তাফসির পেশ করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫০,০০০ এর বেশি শ্রোতার কাছে কোরআন।
(ঙ) লন্ডন মুসলিম সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাবা শরীফের সম্মানিত ইমাম “শায়খ আব্দুর রহমান আস সুদাইসির” এর সাথে মাওলানা সাঈদীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।


৬: মাওলানা সাঈদীর হাত ধরে ইসলামের মহৎ আদর্শের পতাকা তলে আশ্রয় নিল হাজার হাজার অমুসলিম

সাঈদীর প্রকাশিত ৭৫টি বইয়ের তালিকা :-

Leave a Reply