You are currently viewing মুসলিম সমাজ জীবনে মসজিদের ভূমিকা, কর্তব্য ও রূপরেখা
মুসলিম সমাজ জীবনে মসজিদের ভূমিকা-কর্তব্য ও রূপরেখা

মুসলিম সমাজ জীবনে মসজিদের ভূমিকা, কর্তব্য ও রূপরেখা

  • Post author:
  • Post category:News

মুসলিম সমাজ জীবনে মসজিদের ভূমিকা, কর্তব্য ও রূপরেখা

মসজিদ একাধারে ইবাদত-বন্দেগীর স্থান, সামাজিক ও ধর্মীয় মিলনায়তন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিচার ও সম্প্রীতি লেন-দেনের মিডিয়া, নেতৃত্ব ও আনুগত্যের সূতিকাগার। সমাজ জীবনে মসজিদের গুরুত্ব ভূমিকা অপরিসীম। মসজিদ শুধু ইবাদত উপাসনার স্থান নয় বরং তা মুসলমানদের যাবতীয় কর্মকান্ড প্রাণকেন্দ্র। মসজিদ সমাজের সাংস্কৃতিক, ঐক্য-সংহতির কেন্দ্রভূমি। মুসলিম জাতির ঈমান-আকীদা ইবাদত বন্দেগী হতে আরম্ভ করে তাদের শিক্ষা-দীক্ষায় জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, শাসন-সংস্কার, রাষ্ট্র পরিচালনা, গবেষণা, সমস্যা নির্ণয় ও সমাধান চিন্ত এবং বাস্তবায়ন ও চর্চা কার্যকরী করার কেন্দ্ররূপে মসজিদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আদর্শ সমাজ গঠনে মসজিদের অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য।

১ : ইসলামী সমাজে মসজিদ।

  • পাঠ-২ : সমাজ জীবনে মসজিদের ভূমিকা।

  • পাঠ-৩ : শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় মসজিদের অবদান।

  • পাঠ-৪ : মসজিদের ইমাম ও ইমামের গুণাবলী।

  • পাঠ-৫ : ইমামের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

  • পাঠ-৬ : জুমুআর খুতবা ও এর বিষয়বস্তু।

ইসলামী সমাজে মসজিদ:

  • ১. মসজিদের পরিচয় দিতে পারবেন।

  • ২. মসজিদের গুরুত্ব বর্ণনা করতে পারবেন।

১.১ মসজিদের পরিচয়

মসজিদের অর্থ ‘সাজদার স্থান’। ইসলামের পরিভাষায়- নামাযের জন্য ওয়াক্ফকৃত নির্দিষ্ট স্থানকে মসজিদ বলে। মসজিদকে ‘মহান আল্লহর ঘর’ বলা হয়ে থাকে। ‘সাজদাহ’ থেকে মসজিদ-এর উৎপত্তি। গঠন রীতি অনুসারে শব্দটি মাসজাদ হওয়া দরকার ছিল, কিন্তু এর ব্যাপকার্থের কারণে মাসজাদ না হয়ে মসজিদ হয়েছে। কেননা, মসজিদ শুধু সাজদার স্থান নয়। এতে সালাতসহ আরও বহু কাজ আঞ্জাম দিতে হয়। সেজন্য মসজিদ প্রম দিন থেকেই আল্লহর হক ও বান্দার হকের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদ মক্কার কা‘বা শরীফ। আর দ্বিতীয় প্রাচীনতম মসজিদ ‘মাসজিদুল আল আকসা’।

মসজিদ ইসলামী সমাজের প্রাণকেন্দ্র এবং একটি পবিত্রতম স্থান। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় মসজিদ একাধারে ইবাদাতবন্দেগীর স্থান, সামাজিক ও ধর্মীয় মিলনায়তন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিচার ও সম্প্রীতি লেনদেনের মিডিয়া, নেতৃত্ব ও আনুগত্যের সূতিকাগার। তাই মুসলিম সমাজে মসজিদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

১.২ মসজিদের গুরুত্ব

ক. আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে

মহান আল্লাহর ইবাদাতের ঘর হল মসজিদ। এখানেই একাগ্রচিত্তে করুণাময় আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রার্থনা, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় ও অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকার উপযুক্ত স্থান। মুসলমানদের ধর্মীয় মিলনায়তন হলো মসজিদ। মুসলমান মসজিদে সমবেত হয়ে আল্লাহ্র ইবাদত-বন্দেগী করার সাথে সাথে সেখানে ধর্মীয় আলাপ-আলোচনা, ওয়ায-নসীহত প্রভৃতির জন্যও মিলিত হয়।

খ. ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরণে

একটি সমাজের মুসলমান মসজিদে সমবেত হয় কেবল আল্লাহ্র নির্দেশে। তারা পরস্পরকে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে তোলে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সুলভ আচরণ সৃষ্টিতে মসজিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একটি সমাজের মুসলমানগণ দৈনিক পাঁচবার মসজিদে মিলিত হয়ে আমীর-ফকির, ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সবাই এক কাতারে একই ইমামের পিছনে একত্রিত হয়ে সকল ভেদাভেদ ও বৈষম্য ভুলে গিয়ে অপূর্ব সাম্যের নিদর্শন স্থাপন করে। মসজিদে বিভিন্ন শ্রেণীর লোক একত্রে নামায পড়তে সমবেত হয়। আর এ সুবাদেই পাড়া-প্রতিবেশীদের খোঁজ-খবর, পারস্পরিক পরিচিতি ও জানাজানি হওয়ার সুযোগ পায়।  মসজিদে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মাধ্যমে প্রত্যেক মুসলমান পরস্পরের সাথে মিলিত হয়। পরস্পরের কথাবার্তা, কুশল বিনিময় ও আদর, শ্রদ্ধা, সম্ভাষণ, সালাম বিনিময় হয়। ফলে তাদের পরস্পরের মধ্যে আন্তরিকতা, স্নেহ, শ্রদ্ধা ভালবাসা ও সম্প্রীতি গড়ে ওঠে। এ কারণেই তারা একে অপরের প্রতি সহানুভুতিশীল হয়।

গ. শান্তিও শৃঙ্খলাবোধ জাগরণে

মুসলমানগণ আল্লাহ্র নির্দেশ পালন করণার্থে মসজিদে সমবেত হয়, তখন স্বভাবতই সর্বময় ক্ষমতার মালিক আল্লাহ্র ভয়, ভালবাসা ও সন্তুষ্টি পাবার আশায় সকলে শান্তিও শৃঙ্খলা বজায় রাখে। অত্যন্ত নীরবতা ও ভাব-গম্ভীর পরিবেশে ইমামের পেছনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে অতি শৃঙ্খলার সাথে নামাযের সব করণীয় আদায় করে। মুসলমানগণ মসজিদে এসে যোগ্যতম ব্যক্তিকে নেতৃত্বের আসনে বসিয়ে তাঁরই ইমামতি বা নেতৃত্বে নামায আদায় করে। ইমামের নির্দেশ মুতাবিক মুক্তাদিগণ নামাযের সবগুলো কাজ সমাধা করে। আর এর মাধ্যমে নেতার নেতৃত্ব ও আনুগত্যের শিক্ষা লাভ হয়। মসজিদ মানুষকে নিয়মানুবর্তিতাও শিক্ষা দেয়। একই নিয়মে দৈনিক পাঁচবার নামায আদায়, আযান-ইক্বামত এবং ইমামের পিছনে এ ধরাবাঁধা নিয়ম মাফিক সবকিছুই করার মাধ্যমে সকলকে নিয়মানুবর্তী করে গড়ে তোলে। মসজিদ মানুষকে সময়ানুবর্তিতারও শিক্ষা দান করে। নির্দিষ্ট সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়ের মধ্য দিয়ে মানুষকে সময়ানুবর্তিতা ও দায়িত্বজ্ঞান এবং কর্তব্যবোধ জাগ্রতকরার ক্ষেত্রে মসজিদের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মসজিদ আল্লাহর ঘর বলে সেখানে সর্বদা পাক-পবিত্র অবস্থায় প্রবেশ করতে হয়। কাজেই আল্লাহ্র ইবাদতের জন্য মসজিদ পবিত্রতম স্থান হিসেবে চিহ্নিত। আর সমাজের সর্বত্র এ পবিত্র ভাবের বিস্তার ঘটাতে মসজিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

ঘ. জনকল্যাণমূলক কার্যাবলীর ক্ষেত্রে

মসজিদ কেন্দ্রীক সমাজ ব্যবস্থায় সমাজের সর্বপ্রকার জনকল্যাণমূলক কার্যাবলী পরিচালনার কেন্দ্রস্থল হচ্ছে মসজিদ। জনহিতকর সকল কাজকর্ম পরামর্শের ভিত্তিতে মসজিদ থেকেই করা উচিত। মসজিদে নববীতে সর্বপ্রকার কাজই নবীজী (স) করতেন। মসজিদে পাঠাগার স্থাপন, শিশু ও বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা করে সহীহ্ভাবে কুর‘আন-হাদীস শিক্ষার ব্যবস্থা করে সামাজিক সংস্কার ও শিক্ষা বিস্তারে মসজিদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিরক্ষরতা দূরীকরণার্থে মসজিদকে ব্যবহার করা খুবই শ্রেয়।

ঙ. মসজিদের অর্থনৈতিক ভূমিকা

মহানবী (স) মসজিদে নববীতে মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগের নির্দেশনা দিতেন। অর্থনৈতিক ব্যাপারেও তিনি নীতিমালা ঘোষণা করেছেন।

মসজিদে নববীতে গণীমাতের মাল এবং যাকাত ও সাদকার মাল জমা হত। মসজিদ থেকেই তা প্রাপকদের মাঝে বিলিবণ্টন করা হত। এ দৃষ্টিতে মসজিদ যেন ধনাগার ও বিতরণ কেন্দ্র। পরবর্তীকালে প্রত্যেকটি মসজিদেরই নিজস্ব বিরাট তহবিল গড়ে উঠেছিল। সেই তহবিল থেকে দান ও যাবতীয় সমাজকল্যাণমূলক কাজ করা হত।

  • সার-সংক্ষেপ

  • মসজিদ ইসলামী সমাজের প্রাণকেন্দ্র। মসজিদকে বাদ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ মুসলিম সমাজ কল্পনাতীত। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় মসজিদ একাধারে ইবাদাত গৃহ, শিক্ষাকেন্দ্র, মিলনায়তন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড পরিচালনার কেন্দ্র। প্রখ্যাত পন্ডিত আলী তানতাভী মসজিদের ভূমিকা সম্পর্কে বলেন: “মসজিদ হচ্ছে ইবাদাতের স্থান, পার্লামেন্ট, শিক্ষায়তন, মাজলিস ও আদালত।” আজকের বিশ্ব মুসলিম সমাজ মসজিদ কেন্দ্রিক জীবন হতে বিচ্যুত হয়েই ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন এবং যাবতীয় সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এ শোচনীয় অবস্থা হতে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে “মসজিদে নববীর” মত পুনরায় মসজিদগুলোকে আবাদ করা। তা হলে আজকে এ একবিংশ শতকেও আমরা সামাজিক সুখ, শান্তিও সমৃদ্ধির মুখ দেখতে পাবো।

২) সমাজ জীবনে মসজিদের ভূমিকা:

১. সমাজ জীবনে মসজিদের ভূমিকা নির্ণয় করতে পারবেন।

২. সামাজিক সমস্যা সমাধানে মসজিদের কর্মসূচি তুলে ধরতে পারবেন।

২.১ সমাজে মসজিদের ভূমিকা

মসজিদকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির বাস্তবরূপ। মসজিদে নববী ছিল আল্লাহর নবীর

সামগ্রিক কর্মকান্ডের সদর দফতর। এমনকি বাসভবনও। মসজিদ শুধুমাত্র নামাযের ঘর ছিল না। মুসলিম সমাজের সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্র হচ্ছে মসজিদ।

ক. মসজিদ সামগ্রিক কর্মকান্ডের কেন্দ্র

ইসলামের দৃষ্টিতে পরিবারের পরেই মসজিদ হচ্ছে ইসলামী সমাজের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। এটাকে মুসলিম সমাজের সমষ্টিক কেন্দ্রও বলা যেতে পারে।

খ. মসজিদ মানবকল্যাণ কেন্দ্র

আল্লাহর ঘর মসজিদ শুধু সালাতের ঘরই নয়। এটা ফালাহ বা মানব কল্যাণ কেন্দ্র। তাই মুয়াযিযন পাঁচ বেলা মুসল্লীদেরকে শুধু সালাতের জন্য নয়, ফালাহ বা মানব কল্যাণের জন্যও আল্লাহর ঘরের দিকে আহŸান করে থাকে।

গ. সমাজকে মসজিদ কেন্দ্রিক করা

সমাজ ও জীবনকে মসজিদমুখী এবং মসজিদ কেন্দ্রিক করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজের সব সমস্যার সমাধান এখান থেকেই হবে। মসজিদকে প্রাণবন্ত, জীবন্ত ও কর্মমুখর করে তুলতে হবে। মসজিদ কেন্দ্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে জীবনের দৈনন্দিন চাহিদা যত বেশি সম্ভব মেটাতে হবে। মসজিদকে শুধু নামায ও কুরআন তেলাওয়াতের গৃহরূপে সীমিত রাখলে মসজিদ মরে যাবে।

ঘ. কল্যাণমূলক সকল কাজ মসজিদ কেন্দ্রিক

  • আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজাতে হবে যেন শুধু পাঁচ বেলা নামাযই নয়, প্রতিটি কর্মেই মসজিদের প্রভাব থাকে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের হাজার চাহিদা আল্লাহর ঘর কেন্দ্রিক প্রোগ্রামের মাধ্যমে সরবরাহ করা সম্ভব হলে কৃতজ্ঞতায় মাথা স্বাভাবিকভাবেই আল্লাহর সামনে সাজদায় নত হবে। তখন আমাদের সকল শোকর-মুনাজাত প্রার্থনা হৃদয়ের উৎস মূল হতে উৎসারিত হবে। আর তখনই আল্লাহ তা কবুল করবেন।

২.২ সামাজিক সমস্যা সমাধানে মসজিদের ভূমিকা

  • মসজিদে নববীর ছায়াবলম্বনে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে মসজিদের ভূমিকার একটি কর্মসূচি এখানে তুলে ধরা হল-

১. সর্বপ্রকার গণকল্যাণের প্রাণকেন্দ্র

  • মসজিদ হবে আল-ফালাহ বা সর্বপ্রকার গণকল্যাণ মূলক কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দ্র। মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও সুষ্ঠু পরিচালনা করা, অন্যান্য মসজিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা, মসজিদ কেন্দ্রিক কর্মসূচির সমন¦য় সাধন করা হবে এর কাজ।

২. প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র

  • মসজিদই হবে মুসলিম শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র। নারী-পুরুষ, শিশু নির্বিশেষে সকলের জন্য বিশেষ করে দরিদ্র-অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য কুরআন-হাদীস, বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা দানের জন্য ফোরকানিয়া মক্তব প্রতিষ্ঠা করা।

৩. উন্নত শিক্ষার ব্যবস্থা শুধু ফোরকানিয়া মক্তব নয়, উন্নত মানের শিক্ষার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা।

৪. শিক্ষা সামগ্রী প্রণয়ন মসজিদ এবং মসজিদ কমিটি কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, পুস্তক রচনা ও প্রকাশনার দায়িত্ব মসজিদ কমিটিকে গ্রহণ করতে হবে।

৫. শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা

  • মসজিদ কেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা। মেধাবী ও দরিদ্র ছাত্রদের কর্যে হাসানা ও বৃত্তি প্রদান। সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ার খরচ বহন করা। লেখাপড়া এবং গবেষণা করার মত পরিবেশ, ব্যবহারিক বস্তু সামগ্রী, উপকরণ এবং সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।

৬. সমৃদ্ধ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা

  • মসজিদে সমৃদ্ধ ও সুসজ্জিত পাঠাগার স্থাপন করা। যাতে মৌলিক ও প্রেরণা সৃষ্টিকারী পুস্তকের পর্যাপ্ত সমাহার থাকে।

  • ইসলামী আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় পুস্তকাদি ও শিক্ষা সামগ্রী মসজিদ পরিচালিত পাঠাগারে সংরক্ষণ করা।

৭. পাঠ্যচর্চা ও সমষ্টিক পাঠ

  • মসজিদের মধ্যে এবং মসজিদের উদ্যোগে পাঠ চর্চা, সমষ্টিক পাঠের ব্যবস্থা করে পাঠের জন্য উৎসাহ, প্রেরণা ও পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব পালন করা।

৮. ওয়ায-নসীহত ও আলোচনা সভা

  • কুরআন ও সুন্নাহ এবং ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহের ওপর ওয়ায-নসীহত, আলোচনা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম,ও গবেষণার ব্যবস্থা করা ও সুযোগ সৃষ্টি করা।

৯. পুস্তক রচনা ও প্রচার

  • ইসলামী মূল্যবোধ ও নীতিসমূহকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য মাতৃভাষায় ব্যাপক পুস্তক রচনা ও প্রকাশনাকে উৎসাহ দান করা। নাম মাত্র মূল্যে ব্যাপক বিতরণ করা।

১০. স্বাস্থ্য সেবা প্রদান

  • মসজিদ থেকে গণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা। মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি, পুষ্টি জ্ঞান দান করা এবং চিকিৎসা-সুবিধাসহ ঔষধ পত্র প্রদান করা। মসজিদ এলাকার লোকদের স্বাস্থ