মনোমুগ্ধকর গুঠিয়া মসজিদ, ভ্রমন গাইড
বরিশালের বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্সটি স্থানীয়দের কাছে গুঠিয়া মসজিদ নামে পরিচিত। আজ আমরা বরিশালের মনোমুগ্ধকর গুঠিয়া মসজিদ কোথায় এবং তার আদ্যপান্ত এবং কি ভাবে বেড়াতে যাবেন (ভ্রমন) সে সম্পর্কে জানবো।
বায়তুল আমান জামে মসজিদ বিবরণ:-
বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স মূলত একটি মসজিদ। এখানে রয়েছে ১টি বিশাল ঈদগাহ, একটি কবরস্থান, ৩টি লেক, মাদ্রাসা এবং একটি এতিমখানা নিয়ে গঠিত যার মোট আয়তন ১৪ একর।
১৬ ডিসেম্বর, ২০০৩-এ প্রতিষ্ঠিত, গুঠিয়া মসজিদটিও বাংলাদেশের একটি পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে উঠেছে।
প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটন আসছে এই গুঠিয়া মসজিদের সৌন্দর্য্য উপভোগে।
আকর্ষনের মূলে রয়েছে সবুজ ফুল-ফলের গাছে ঘেরা এই মসজিদ। হেলিপ্যাড, টলটলে পানির পুকুরে শানবাঁধানো ঘাট, ফুলের বাগান, নার্সারি, গাড়ির পার্কিং ব্যবস্থা, ঈদগাহ ফলক, পানির ফোয়ারা, কবরের জন্য নির্ধারিত জায়গাসহ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে মসজিদের প্রাঙ্গণ।
মসজিদটির সীমানা হিসেবে ইট-পাথরের কোনো দেয়াল নির্মাণ করার বদলে রয়েছে পানির লেকবেষ্টিত। গেট থেকে ঢুকলেই হাতের ডান পাশে চোখে পড়ে টলটলে পানির পুকুর, আর শানবাঁধানো মনকাড়া পুকুরঘাট।
মিনারের উচ্চতা:-
মসজিদটির প্রধান মিনারের উচ্চতা ১৯৩ ফুট।
স্তম্ভটি নির্মাণে বিশ্বের কিছু পবিত্র স্থানের মাটি ও জমজম কূপের পানি ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়াও ইসলাম ও ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মসজিদের নির্মানে আনা হয়েছে মাটি।
গোধূলিলগ্নে মসজিদটি দেখতে এতটাই মনোমুগ্ধকর, যা ভাষায় বোঝানো যাবে না। বিশেষ করে পশ্চিম আকাশে সূর্যে হেলেপড়ার সাথে সাথে তৈরী হয় মনোমুগ্ধকর এক পরিবেশ।
এছাড়াও পরিকল্পিত ও রুচিশীল লাইটিং-ব্যবস্থা মসজিদটিকে সাজিয়ে তোলে শতগুণ।
এখানে পুরুষের পাশাপাশি নারীর জন্যও নামাজের আলাদা জায়গা রয়েছে। একই সঙ্গে এই মসজিদে হাজার লোক নামাজ আদায় করতে পারেন।
গুঠিয়া মসজিদে মোট গম্বুজ সংখ্যা:-
আট গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নমানের কাচ, ফ্রেম, বোস স্পিকার ও মার্বেল পাথর।
২০ হাজারের অধিক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ঈদগাহ ময়দান রয়েছে এখানে।
২০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে বরিশালের গুঠিয়ার মাটিতে এ মসজিদ নির্মাণ করতে, যা আজ বরিশালবাসীর কাছে খুব পছন্দের একটি মসজিদ ও দর্শনীয় স্থান।
এসএএস ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৩ সালে মসজিদ কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কমপ্লেক্সটি স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের একটি ব্যক্তিগত উদ্যোগ। মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লেগেছে চার বছর এক মাস।
Guthia Mosque Vromon guide গুটিয়া মসজিদ পৌঁছাতে :
গুটিয়া মসজিদ দেখার জন্য প্রথমে বরিশালে পৌঁছাতে হবে এবং বরিশালে পৌঁছানোর সবচেয়ে আরামদায়ক উপায় হল লঞ্চ (ঢাকা থেকে)। বরিশাল পৌঁছে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বানারীপাড়া অথবা স্বরূপকাঠির বাসে চড়তে হবে।
ঢাকা থেকে গাড়ি পথে আসলে আপনাকে গড়িয়ার পাড় নামক স্থান থেকে ডানে স্বরূপকাঠি/বানারিপাড়া সড়কে প্রবেশ করে যেতে হবে গুঠিয়া মসজিদ। বরিশাল শহর থেকে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা, সিএনজি ও থ্রি হুইলার পাওয়া যায়।
যাত্রাটিকে পুরোপুরি উপভোগ করতে চাইলে পথেই নামতে পারেন দূর্গাসাগর বা সাগরপাড়।
f55wvh
fey4dk