পর্তুগালের ভবিষ্যৎ তারকা রামোস, বিশ্বকাপ দলে থাকার কথা ছিল না গঞ্জালো রামোসের। হ্যাটট্রিক করে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের বিশাল ৬-১ ব্যবধানে জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন কাল। ২১ বছর বয়সী পর্তুগিজ সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। তবে দিয়েগো জোটা চোট না পেলে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেতেন না এই স্ট্রাইকার।
গ্রুপ পর্বে পর্তুগালের তিন ম্যাচে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পুরো ম্যাচে তাকে খেলায়নি কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। কাল রোনালদোকে একাদশের বাইরে রেখে তার অবস্থানে খেলেন। আর সেটাই করলেন পর্তুগালের হয়ে চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামা এই খেলোয়াড়।
রামোস বেনফিকার একাডেমিতে একজন ফুটবলার হয়ে ওঠেন। তাকে বলা হতো পর্তুগালের ভবিষ্যৎ তারকা। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি কী করতে পারেন। এই মৌসুমে বেনফিকার হয়ে পর্তুগিজ লিগে তিনি ১১ গোল করেছেন। বলা যায় গতকাল হ্যাটট্রিক করে ইউরোপের বিখ্যাত ক্লাবগুলোর নজর কেড়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে, তিনি ইউরোপীয় যুব চ্যাম্পিয়নশিপে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ভাল খেলেছিলেন। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। রামোস ২০১৩ সালে ১২ বছর বয়সে বেনফিকার একাডেমিতে ভর্তি হন। তিনি শুরু থেকেই একাডেমিতে একজন ভালো ফিনিশার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গোলে শট নেওয়ার ক্ষমতা, সেগুলো থেকে গোল বের করার ক্ষমতা তাকে দ্রুত একজন প্রতিশ্রুতিশীল ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এই পর্তুগাল দলে ব্রুনো ফার্নান্দেজ, বার্নার্ডো সিলভা, ওটাভিওর মতো প্লেমেকারদের সাথে, রামোসের শ্যুটিং ক্ষমতা কোচ সান্তোসের জন্য একটি বড় সম্পদ।