You are currently viewing দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মিরসরাই মহামায়া লেক
ছবি : সংগ্রহিত

দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মিরসরাই মহামায়া লেক

পাহাড়, পানি আর সবুজ প্রকৃতির আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র চট্টগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মিরসরাই মহামায়া লেক। স্বচ্ছ শীতল জলে জলের ঝিলিক, লেকের ধারে পাহাড়ের ধারে সবুজ গাছে শীতের অতিথি পাখির কিচিরমিচির এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য তৈরি করেছে।
এমন স্বর্গীয় সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটক ছুটে আসেন। তাই পর্যটকদের সুবিধার্থে মহামায়া সেচ প্রকল্পের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। পর্যটন কেন্দ্রে তথ্যসেবা কেন্দ্র, টয়লেট, গাড়ি পার্কিংসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি 2023 সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মহামায়া ও খৈয়াছড়া জলপ্রপাতকে পর্যটনমুখী করতে ২০১৭ সালে প্রায় ৫০ কোটি টাকার দুটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় মহামায়া সেচ প্রকল্পের জন্য ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। সেই বছর মহামায়া সেচ প্রকল্পের আধুনিকায়ন শুরু করে বন বিভাগ।
আধুনিকায়নের মধ্যে রয়েছে তথ্য সেবা কেন্দ্র নির্মাণ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ব্যারাক নির্মাণ, টয়লেট নির্মাণ, ছাউনি নির্মাণ, বনায়ন, গাড়ি পার্কিং এলাকা, জমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ লাইন সঞ্চালনসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজ।

জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষকে ভূমিধসের হাত থেকে রক্ষা এবং শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ বাড়াতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মহামায়া সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের কেরহাট ও নারায়ণহাট রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মুহাম্মদ খান বলেন, আমরা নতুন বরাদ্দ অনুযায়ী নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। উপরন্তু, পুনর্বনায়ন মহামায়ার প্রায় বিলুপ্ত বন্যপ্রাণী এবং গাছপালা প্রজননের অনুমতি দেবে। ফলে পর্যটনের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Leave a Reply