You are currently viewing ইলিয়াস-বাবুলসহ চার জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১২ জানুয়ারি
বায়ে-বাবুল ও ডানে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন-ছবি : ইন্টারনেট

ইলিয়াস-বাবুলসহ চার জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১২ জানুয়ারি

পিবিআইয়ের মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আখতারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাবুল আক্তারের ভাই মোঃ হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)।

বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম ১২ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বনজ কুমার বিবৃতিতে বলেন, দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলার তদন্তের প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। কিন্তু মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে গতিশীল করতে ও পুলিশ-পিবিআই-এর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কারাগারে থাকা বাবুল আক্তারসহ আসামিরা দেশে-বিদেশে অবস্থান করে নানা অপরাধমূলক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আক্তার ও অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার ইউটিউবে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ইলিয়াস হোসেন বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে, বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইকে, বিশেষ করে বাদী (বনজ কুমার মজুমদার) এর মানহানি করতে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ভিডিওতে সম্প্রচারিত ভাষণ। যা দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে।

ভিডিওর বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতিতে বলা হয়, ইলিয়াস রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করার, শত্রুতা, বিদ্বেষ, বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং হিন্দুদের মধ্যে অস্থিতিশীলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে।

শুধুমাত্র মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মামলার ২ নম্বর আসামি মোঃ হাবিবুর রহমান লাবু, ৩ নম্বর আসামি আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ৪ নম্বর আসামি বাবুল আকতারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্ররোচনায় এক নম্বর আসামি ইলিয়াস হোসাইন মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুক-ইউটিউবে দেন বলে নমামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র : বাসস

Leave a Reply