‘আঞ্জুমানে হেফাজেতে ইসলাম বাংলাদেশ’-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ইজতেমা-২০২২ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত বিশেষ আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিরা দু’হাত তুলে মহান আল্লাহর কাছে আত্মশুদ্ধি ও নিজেদের গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার যাবতীয় ঝামেলা থেকে রক্ষার প্রার্থনা করেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুফতি মাওলানা রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভী।
এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে সর্বশক্তিমান ও করুণাময় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় অর্ধলক্ষ মুসল্লি মোনাজাত করেন। তারা প্রার্থনায় কাঁদলেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ দিন। আখেরি মোনাজাতে সিলেট মহানগরীসহ আশপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইচ কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালে অনুষ্ঠিত এ ইজতেমায় অর্ধ লাখের বেশি মুসল্লির সমাগম হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ভোরের দিকে এ ইজতেমা শুরু হয়।
দুই দিনব্যাপী এ ইজতেমায় দেশের শীর্ষস্থানীয় শতাধিক উলামা-মাশায়েখ ও বুদ্ধিজীবী ইসলামী জীবন সাধনা ও আত্মশুদ্ধির ওপর বক্তৃতা দেন। বহির্বিশ্বের অনেক ইসলামী পণ্ডিতও এতে অংশ নেন।
ইজতেমা থেকে দেশ ও জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির হযরত মুফতি মুহাম্মদ রশিদুর রহমান ফারুক বারনভী বলেন, আজিমুশওয়ান ইজতেমা থেকে আমরা দেশের সর্বস্তরের মুসলিম জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, তোমরা যেকোন স্থান থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর। নিজের এবং আপনার পরিবারের ঈমান ও আমলের পরিশুদ্ধির জন্য ঘরে ঘরে। ধর্মীয় শিক্ষার চর্চাও চালু করুন। মসজিদে, কর্মস্থলে, ঘরে ঘরে ধর্মীয় প্রশিক্ষণের চর্চা অব্যাহত থাকলে মুসলমানদের ঈমান ও আমল সংরক্ষিত হবে। কেউ তাদের বিভ্রান্ত করতে পারে না।
আখেরি মোনাজাতে তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন।