প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য দেশকে সন্ত্রাস, উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত করে আত্ম সামাজিকভাবে নিজেদের উন্নত করা। এ সময় তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন।
সোমবার রাজধানীর মিরপুরে প্রতিরক্ষা কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রতিরক্ষা নীতি দিয়েছিলেন, তাতে বলা হয়েছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। বাংলাদেশ বিশ্বের একটি দেশ, যেটি প্রতিটি দেশের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং আমরা তা বজায় রাখতে পেরেছি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি কারণ আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখনই এগিয়ে যায় তখনই একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পদ্মা সেতু নিয়ে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অনেক অপবাদ ছিল। কিন্তু এটা প্রমাণিত হয়েছে যে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তখন আমরা নিজেরাই পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেকে বলেছেন, এটা ছিল। কখনই সম্ভব নয়। অনেক দেশের সরকারপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা বলেন, এটা সম্ভব নয়। অসম্ভবকে সম্ভব করা বাঙালি চরিত্র। আমরা তা পারি, আমরা পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। তখনও অনেকে হাসছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের কাছে উদাহরণ। আজকে ছেলে মেয়েরা গ্রামে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করে। আমরা এই সুযোগ করে দিয়েছি।
বিশ্ব দরবারে সশস্ত্র বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “ফোর্স গোল ২০৩০, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে অনুযায়ী সরকার কাজ করছে। এসব পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর আয়তন বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রদান, যা বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করছে। এর পাশাপাশি আমরা জাতীয় প্রতিরক্ষা আইন ২০১৮ তৈরি করেছি।