যারা অবৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার (১৬ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রমাণ সাপেক্ষে অবৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের প্রিয়জনদের জানানো হচ্ছে যে, ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে (হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে) কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং দেশের ক্ষতি করে। হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ চ্যানেলের পরিবর্তে বৈধ চ্যানেল/ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার কষ্টার্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করুন। জাতি গঠনে মূল্যবান অবদান রাখুন এবং আপনার প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন।
উল্লেখ্য, প্রবাসী বাংলাদেশিদের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে হুন্ডির তৎপরতা বেড়েছে। আর এর ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলের রেমিটেন্সে বড় ধরনের দরপতন হচ্ছে। প্রবাসীদের একটি অংশ অবৈধ পদ্ধতি জানা সত্ত্বেও হুন্ডির দিকে ঝুঁকছে কারণ তারা ব্যাংকের চেয়ে ভাল হার এবং কম খরচ পায়। হুন্ডির চক্রে আটকা পড়ে অবৈধ রেমিট্যান্স।
ব্যাংকগুলোর তুলনায় খোলা বাজারে প্রতি ডলার অন্তত ছয় টাকা পাওয়া যাচ্ছে, যা হুন্ডির প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ।
বাণিজ্যের আড়ালে সাধারণত বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়। মূলত শুল্ক ফাঁকি এবং অর্থ পাচারের জন্য আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় কম মূল্য বা উচ্চ মূল্য দেখানো। অর্থ পাচারের জন্য দেশের বাইরে যে বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন, তা হুন্ডি চক্র পূরণ করে। কেউ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠালেও প্রবাসী সুবিধাভোগী দেশেই টাকা পেয়ে থাকেন। বিদেশী হুন্ডি এজেন্ট প্রবাসীর বৈদেশিক মুদ্রা কিনে এখানে পরিশোধ করে। ব্যবসা ছাড়াও যারা বিদেশে বাড়ি বা অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করেন, তারা নানাভাবে হুন্ডি চক্রের কবলে পড়েন।