You are currently viewing অনন্য কণ্ঠস্বরের বিখ্যাত ক্বারী শেখ নুরাইনের মৃত্যু
Sheikh Noreen Mohamed Sideeq

অনন্য কণ্ঠস্বরের বিখ্যাত ক্বারী শেখ নুরাইনের মৃত্যু

নিখুঁত ও দরদিকণ্ঠে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত সুদানের ক্বারী শেখ নুরাইন মোহাম্মদ সিদ্দিক। অনন্য কণ্ঠস্বর তাকে মুসলিম বিশ্বের জনপ্রিয় সব ক্বারীদের একজনে পরিণত করেছিল।

গত নভেম্বরে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার মৃত্যুতে সারাবিশ্বেই শোক ছড়িয়ে পড়েছিল।

ক্বারী শেখ নুরাইন মোহাম্মদ সিদ্দিকের মাধ্যমে আফ্রিকান লাহজা বা স্টাইলে কোরআন তেলাওয়াত জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তিনি যখন কোরআন তেলাওয়াত করতেন, তার কণ্ঠে খুঁজে পাওয়া যেত বিষাদ, হৃদয় স্পর্শ করা আবেগ।

সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল নুরাইন। নুরাইন সিদ্দিকের তেলাওয়াত এবং তার মৃত্যুর ফলে ঐতিহ্যবাহী আফ্রিকান স্টাইলে কোরআন তেলাওয়াতের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ইতিহাসবিদ সিলভেইন দিওফের মতে পশ্চিম আফ্রিকার দাস মুসলিমদের প্রার্থনা এবং তেলাওয়াতের সঙ্গে সাহেল অঞ্চল থেকে শুরু করে সুদান এবং সোমালিয়ার মুসলিমদের তেলাওয়াতের মিল রয়েছে।  সেখান থেকেই হয়তো বিশেষ এই আফ্রিকান আমেরিকান সঙ্গীতের জন্ম হয়েছে যা পরে ব্লুজ সঙ্গীতে রূপ নিয়েছে। ক্বারী শেখ নুরাইন মোহাম্মদ সিদ্দিক ৯০ এর দশকে সুদানের রাজধানী খার্তুমের পশ্চিমে আল-ফারাজাব গ্রামের একটি মাদ্রাসায় কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন। পরে যখন খার্তুমে চলে আসেন, শহরের কয়েকটি বড় বড় মসজিদের নামাজে তিনি ইমামতি করেছেন এবং তখন তিনি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করার পরই তার নাম দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের স্টাইলে কোরআন তেলাওয়াত আফ্রিকাসহ সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

বিশেষ করে শহুরে এলাকায় যেখানে লোকজন ভিনাইল রেকর্ড, শর্টওয়েভ রেডিও, অডিও ক্যাসেট টেপ এবং সিডিতে কোরআন তেলাওয়াত শুনে থাকে। এগুলোর বেশিরভাগই উৎপাদন করা হয় মিসর ও সৌদি আরবে।

মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও সৌদি আরবের মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা যখন নিজেদের দেশে ফিরে যান তাদের কারণে মধ্যপ্রাচ্য স্টাইলে কোরআনের তেলাওয়াত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

তার সঙ্গে রয়েছে উপসাগরীয় দেশগুলোর অর্থ সহায়তায় গড়ে ওঠা বেশ কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠানের প্রভাব। কিন্তু ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী স্টাইলও এখন তরুণ প্রজন্মসহ সবার নজরে পড়ছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

Leave a Reply