বাগেরহাটের প্রত্নতাত্ত্বিক সিঙ্গাইর মসজিদ
অবস্থানঃ বাংলাদেশের বাগেরহাট এর সদর উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দক্ষিণ-পূর্বে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে সুন্দরঘোনা গ্রামে অবস্থিত মসজিদটি।
প্রস্তুত সময়কালঃ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম সিঙ্গাইর মসজিদটি মুঘল শাসনামলে খান জাহান আলী নির্মাণ করেন।
নির্মান এর ধরনঃ একগম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদের চর্তুদিকের কার্ণিশ গুলো বক্রকার।
বর্গাকার মসজিদটির প্রতি বাহুর পরিমাপ ১২.৪২ মি.। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের দেয়ালের পুরুত্ব ২.১৩ মি.।
মসজিদটিতে ৪টি খিলান যুক্ত দরজা রয়েছে। মসজিদের ভিতরে একটি অলংকৃত মেহরাব রয়েছে। ইটের দেওয়াল গুলো গড়ে ২.১০ মিটার পুরু। দেয়ালের প্রতিটি কোণার বাইরের দিকে গোলাকার ভাবে বর্ধিত একটি বুরুজ আছে। পূর্ব দেয়ালে তিনটি দরজা আছে। দ্বিকেন্দ্রিক সুচাগ্র খিলানাকৃতির প্রবেশপথগুলো আয়তাকার ফ্রেম দ্বারা আবদ্ধ। উত্তর ও দক্ষিণের দেয়ালেও একটি করে প্রবেশপথ রয়েছে।
এই দরজার সোজাসুজি পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মেহরাব অবস্থিত। অন্যান্য সাধারণ বৈশিষ্ট্য ষাটগম্বুজ মসজিদের অনুরূপ। মসজিদের ভিতরে পশ্চিম দেয়ালের মাঝের অংশে একটি অলংকৃত মেহরাব। এরকম অলংকৃত পোড়ামাটির নকশা চোখে পড়ে দরজাগুলোর দুই পাশে।
পশ্চিমের দেয়ালে কেন্দ্রিয় মিহরাব অবস্থিত যার বাইরের দিকে রয়েছে একটি আয়তাকার অভিক্ষেপ। এটি মসজিদের কার্নিস পর্যন্ত উঠে গেছে। এছাড়াও মসজিদের চারদিকে সীমানা প্রাচীর রয়েছে যার চার কোনায় চারটি বুরুজ রয়েছে। প্রাচীরের পূর্ব দিকে প্রবেশপথ ছিল। ১৯৭৫ সালের ২ অক্টোবর এই মসজিদটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৫ সালে “ঐতিহাসিক মসিজিদের শহর, বাগেরহাট” নামে ইউনেস্কোর তালিকাভূক্ত বিশ্ব ঐতিহ্য স্থলে এই মসজিদটি অন্তর্ভুক্ত।
- 01790950500
- saiful9707@gmail.com
-
বাগেরহাটের প্রত্নতাত্ত্বিক সিঙ্গাইর, মসজিদ পূর্ব দিকঃ বর্তমান প্রবেশ পথ।
বাগেরহাটের প্রত্নতাত্ত্বিক সিঙ্গাইর, মসজিদ পূর্ব দিকঃ বর্তমান প্রবেশ পথ।
IMG20211221120052-04f90c87 - সুন্দর ঘোনা,বাগেরহাট সদর
- খান জাহান আলী
- পাওয়া যায়নি
- পাওয়া যায়নি
- একতলা
- এক গম্বুজ এবং চার মিনার
- পাওয়া যায়নি
-
মুঘল-
ইন্দো-ইসলামী স্থাপত্যকলা দেখা যায়। - নেই
- আছে
nice post.