You are currently viewing ঐতিহ্যবাহী বাঘা মসজিদ এর ইতিহাস
ঐতিহ্যবাহী বাঘা মসজিদ- রাজশাহী জেলা সদর হতে প্রায় ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বাঘা উপজেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।

ঐতিহ্যবাহী বাঘা মসজিদ এর ইতিহাস

ঐতিহ্যবাহী বাঘা মসজিদ এর ইতিহাস

বাঘা মসজিদ রাজশাহী জেলা সদর হতে প্রায় ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বাঘা উপজেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।

সুলতান নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ ১৫২৩ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন ।

মসজিদটি ১৫২৩-১৫২৪ সালে (৯৩০ হিজরি) হুসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা আলাউদ্দিন শাহের পুত্র সুলতান নুসরাত শাহ নির্মাণ করেন।

পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এই মসজিদের সংস্কার করা হয় এবং মসজিদের গম্বুজগুলো ভেঙ্গে গেলে ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদে নতুন করে ছাদ দেয়া হয় ১৮৯৭ সালে।[১]

টুকিটাকি :

বাঘা শাহী মসজিদ যা উত্তরবঙ্গের রাজশাহী অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন নিদর্শন। যার ফলস্বরূপ বাংলাদেশের ৫০ টাকার নোটে মসজিদটির ছবি স্থান পেয়েছে। প্রায় ৪৫০ বছরের পুরনো এই মসজিদটি রাজশাহী শহর থেকে পূর্ব দিকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলা সদরে এই মসজিদটির অবস্থান।

ইতিহাস :

হোসেন শাহী বংশের দ্বিতীয় বংশধর সুলতান নসরত শাহ (১৫২২-১৫২৫) খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইসলাম ধর্ম প্রসারে ও স্থানীয়দের ইসলাম ধর্মে উদ্বুদ্ধ করতে মসজিদটি নির্মাণ করেন। ৪৫০ বছরের পুরনো এই মসজিদটি বিভিন্ন সময় সংস্কার করা হলেও এর নির্মাণকালীন বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ১৮৯৭ সালে মসজিদটির ভগ্ন ছাদ নতুন ভাবে দেওয়া হয়।

অবকাঠামো

প্রায় ৮৫ একর জায়গার উপর অবস্থিত এই মসজিদটি ১০ ফুট উঁচু একটি প্ল্যাটফর্মের  উপরে অবস্থিত। মোট ১০ টি একই আকৃতির গম্বুজ নিয়ে গঠিত এই মসজিদটি চতুষ্কোণে চারটি আর ভিতরে ৬ টি পিলারের ওপর অবস্থিত।এটি দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ৭৫×৪২ ফুট।  মসজিদের  নিচের অংশ থেকে  গম্বুজ পর্যন্ত এর উচ্চতা ২৪.৬ ফুট। এর ভিতরে প্রবেশের জন্য মোট পাঁচটি দরজা রয়েছে।

মসজিদটি চারিদিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। মসজিদের মূল আকর্ষণ এর ৮ ফুট চওড়া দেয়াল। ভিতরে মোট চারটি মেহরাব আছে। ভিতরে-বাহিরে মিলে একসাথে প্রায় ৫০০ জন মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করতে পারেন।পুরো মসজিদ জুড়ে টেরাকোটার নকশা যে কোন পর্যটক কে সহজেই  মুগ্ধ করে।

মসজিদটি চারিদিক :

২৫৬ বিঘা জমির উপর সুবিশাল দীঘি, আউলিয়াদের মাজার, মূল দরগা শরীফ ও জাদুঘর, মসজিদ সংলগ্ন বিশাল দীঘি। শীতে সাইবেরিয়া থেকে অসংখ্য অতিথি পাখি এখানে আসে।  দিঘির পারে অনেক দর্শনার্থী ভিড় করে তা দেখার জন্য।

কিভাবে যাবেন:

বাস

ঢাকার কল্যাণপুর, গাবতলী,মহাখালী, কলাবাগান থেকে রাজশাহী যাওয়ার বাস প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর পাওয়া যায়।

ন্যাশনাল ট্রাভেলস ( কল্যাণপুর মোবাইল- 01713228286, রাজশাহী শিরোইল বাস স্ট্যান্ড
মোবাইল-0721-771240)
শ্যামলী পরিবহন( টেকনিক্যাল মোবাইল- 01865068922, রাজশাহী শিরোইল বাস স্ট্যান্ড মোবাইল-01791963363)
দেশ ট্রাভেলস (কল্যাণপুর মোবাইল-017626844401, রাজশাহী শিরোইল বাস স্ট্যান্ড মোবাইল-01762684415) এছাড়া তুহিন একতা ও গ্রামীণ ট্রাভেলস এই লাইনে যাতায়াত করে। ভাড়া নন এসি ৪৮০ টাকা এসি ১০০০টাকা।

ট্রেন :

ঢাকা থেকে রাজশাহী

ধুমকেতু এক্সপ্রেস  ছাড়ে 6:00 Am রাজশাহী পৌঁছায় 11:40 Am ভাড়া 340
শনিবার বন্ধ

বনলতা এক্সপ্রেস  ছাড়ে 1:15 pm রাজশাহী পৌঁছায় 6:00 pm ভাড়া 375 টাকা

সিল্কসিটি ছাড়ে 2:40 pm রাজশাহী পৌঁছায় 8:45pm ভাড়া 340 টাকা
রবিবার বন্ধ

পদ্মা এক্সপ্রেস ছাড়ে 11:20 pm রাজশাহী পৌঁছাই 4:40 Am  ভাড়া 340 টাকা।
মঙ্গলবার বন্ধ

রাজশাহী থেকে ঢাকা

বনলতা এক্সপ্রেস ছাড়ে 7:00 Am ঢাকায় পৌছাইয়া 11:40 Am ভাড়া 375 টাকা
শুক্রবার বন্ধ

সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ছাড়ে 7:
40 Am  ঢাকায় পৌঁছে 2:00 pm ভাড়া 340 টাকা
রবিবার বন্ধ

পদ্মা এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ছাড়ে 4:00 pm ঢাকায় পৌছাইয়া 9:38pm ভাড়া 340
মঙ্গলবার বন্ধ

ধুমকেতু এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ছাড়ে 11:20 pm ঢাকায় পৌঁছায় 04:43 Am  ভাড়া 340 টাকা।

শনিবার বন্ধ

[ রাজশাহী বাস স্ট্যান্ড থেকে বাঘা শাহী মসজিদ ৪১ কিলোমিটার। বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসযোগে বাঘা মসজিদ যেতে পারেন সময় দেড় ঘন্টার মত লাগে আর ভাড়া পড়বে ৪০-৫০টাকার মতো]

কোথায় থাকবেন

রাজশাহী শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল আছে। রাজশাহী পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল। হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল-0721776188

হোটেল মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল-0721771100

হোটেল ডালাস ইন্টারন্যাশনাল-0721811470

হক’স ইন-0721810420

[ হোটেল গুলোর ভাড়া 500 থেকে 4000 টাকার মধ্যে পড়বে]

  • 01/01/1523
  • 01725892142
  • mosquebd0@gmail.com
  • রাজশাহী জেলা সদর হতে প্রায় ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বাঘা উপজেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
  • বাঘা মসজিদের দৈর্ঘ্য ২২.৯২ মিটার, প্রস্থ ১২.১৮ মিটার।
  • ৪০০ শত জন
  • বাঘা মসজিদের উচ্চতা ২৪ ফুট ৬ ইঞ্চি।
  • মসজিদটিতে ১০টি গম্বুজ আছে । আর ভেতরে রয়েছে ৬টি স্তম্ভ।
  • ৪টি মিনার (যার শীর্ষদেশ গম্বুজাকৃতির) এবং ৫টি প্রবেশদ্বার রয়েছে।
  • মসজিদটি ২৫৬ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত। সমভুমি থেকে থেকে ৮-১০ ফুট উঁচু করে মসজিদের আঙিনা তৈরি করা হয়েছে। উত্তর পাশের ফটকের ওপরের স্তম্ভ ও কারুকাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। মসজিদটির গাঁথুনি চুন-সুরকি দিয়ে। ভেতরে এবং বাইরের দেয়ালে মেহরাব ও স্তম্ভ রয়েছে। এর দেয়াল ২.২২ মিটার পুরু। এই মসজিদটি চারদিক হতে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এবং প্রাচীরের দু’দিকে দু’টি প্রবেশদ্বার রয়েছে। মসজিদের ভিতরে-বাইরে সবর্ত্রই টেরাকোটার নকশা বর্তমান। মসজিদের পাশে অবস্থিত বিশাল দিঘীও একটি দর্শনীয় স্থান। এছাড়া বাঘা মসজিদের পাশেই রয়েছে একটি মাজার শরীফ।

  • মসজিদটিতে ৪টি মেহরাব রয়েছে যা অত্যন্ত কারুকার্য খচিত। দৈর্ঘ্য ৭৫ ফুট প্রস্থ ৪২ ফুট, উচ্চতা ২৪ ফুট ৬ ইঞ্চি। দেয়াল চওড়া ৮ ফুট গম্বুজের ব্যাস ৪২ ফুট, উচ্চতা ১২ ফুট। চৌচালা গম্বুজের ব্যাস ২০ ফুট উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। মাঝখানের দরজার ওপর ফার্সি ভাষায় লেখা একটি শিলালিপি রয়েছে।

  • বাঘা মসজিদটির গাঁথুনি চুন এবং সুরকি দিয়ে। মসজিদের ভেতরে এবং বাইরের দেয়ালে সুন্দর মেহরাব ও স্তম্ভ রয়েছে। এছাড়া আছে পোড়ামাটির অসংখ্য কারুকাজ যার ভেতরে রয়েছে আমগাছ, শাপলা ফুল, লতাপাতাসহ ফার্সি খোদাই শিল্পে ব্যবহৃত হাজার রকম কারুকাজ। এছাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণের উত্তর পাশেই রয়েছে হজরত শাহদৌলা ও তার পাঁচ সঙ্গীর মাজার। বাংলার স্বাধীন সুলতান আলাউদ্দিন হুসাইন শাহর পুত্র নাসিরউদ্দীন নসরত শাহ জনকল্যাণার্থে মসজিদের শাহী মসজিদ সংলগ্ন এ দিঘিটি ৫২ বিঘা জমির ওপর রয়েছে। এই দিঘির চারপাশে রয়েছে সারিবদ্ধ নারিকেল গাছ। প্রতিবছর শীতের সময় এ দিঘিতে অসংখ্য অতিথি পাখির কলতানে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।[৪] বর্তমানে দিঘিটির চারটি বাঁধানো পাড় নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ মসজিদ সংলগ্ন জহর খাকী পীরের মাজার রয়েছে। মূল মাজারের উত্তর পাশে রয়েছে তার কবর। এ ছাড়া মসজিদ সংলগ্ন মাটির নিচ থেকে মহল পুকুর আবিষ্কৃত হয়। ১৯৯৭ সালে মাজারের পশ্চিম পাশে খনন কাজের ফলে ৩০ ফুট বাই ২০ ফুট আয়তনের একটি বাঁধানো মহল পুকুরের সন্ধান মেলেছে। এই পুকুরটি একটি সুড়ঙ্গপথ দিয়ে অন্দরমহলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তিন দিক থেকে বাঁধানো সিঁড়ির ভেতরে নেমে গেছে। মসজিদের ভেতরে ও বাইরে রয়েছে প্রচুর পোড়ামাটির ফলক। মসজিদের ভেতরে উত্তর-পশ্চিম কোণে একটু উঁচুতে নির্মিত একটি বিশেষ নামাজের কক্ষ আছে। এ মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের দিন থেকে ৩ দিন পর্যন্ত 'বাঘার মেলা'র আয়োজন করা হয়। এ মেলাটি ৫০০ বছরের ঐতিহ্য।

  • সামনেই একটি দিঘী রয়েছে।
  • নাই
  • নাই

Leave a Reply